করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। সদ্য বিজ্ঞানীদের একটি বড় দল দাবি করেছিলেন, উহানের মাংসের বাজার থেকে ছড়িয়ে থাকতে পারে ভাইরাসটি। কিন্তু কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা খুব কম। একাধিক পত্র-পত্রিকাতেও উহানের বাজারটিকে সন্দেহজনক তালিকায় রেখে ল্যাব-বিতর্ক উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এলিনা চ্যান দাবি করলেন, উহানের ভাইরোলজি ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর আশঙ্কাই প্রবল।

ব্রিটেনের ‘হাউস অব কমন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিটি’-র সামনে চ্যান জানান, ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর তত্ত্বই অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত। ভাইরাসটিকে গবেষণাগারে বিশেষ পরিবর্তন করা হয়েছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখতে বলেন চ্যান। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃতির নিয়মে এর জন্ম এবং ল্যাবে জন্ম— এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করে দেখতে গেলে দ্বিতীয়টির সম্ভাবনাই বেশি।’’ উহানের হুনান সিফুড বাজারের প্রসঙ্গ উঠলে চ্যান বলেন, ‘‘ওই বাজার হয়তো সুপার স্প্রেডারের কাজ করেছে। কিন্তু প্রাণীর দেহে ভাইরাসটির প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মানোর কোনও প্রমাণ কিন্তু নেই।’’

চ্যান বলেন, ‘‘সার্স-কোভ-১ অর্থাৎ প্রথম সার্স ভাইরাসটির পরীক্ষামূলক পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন, এমন বিজ্ঞানীদের কাছে শুনেছি, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস তৈরি করা সম্ভব।’’ চ্যান মনে করিয়ে দিয়েছেন, সার্স-কোভ-২-র একটি সন্দেহজনক গঠন রয়েছে, তা হল ‘ফিউরিন ক্লিভেজ’। এই গঠনটিই একে অতিমারির কারণ করে তুলেছে।

ইতিমধ্যে ওমিক্রন নিয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ডেল্টার থেকেও ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। তবে এই স্ট্রেনে বাড়াবাড়ি হচ্ছে না রোগীর। এর অতিসংক্রমণ ক্ষমতার খবর মিলছে বিভিন্ন দেশ থেকে। যেমন সদ্য জানা গিয়েছে, ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে করনেল ইউনিভার্সিটির ৯০৩ জন পড়ুয়া ওমিক্রন-আক্রান্ত হয়েছেন। -সংবাদ সংস্থা

এখন সময়/শামুমো